11
Aug, 2019

cyber attacksআপনার প্রতিষ্ঠানকে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাটাক থেকে বাঁচাতে ৫টি পরামর্শ :

ইন্টারনেট প্রায় সব ক্ষেত্রেই খুব উপকারী এব্যপারে কোনও সন্দেহ নেই । দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিপুল পরিমাণ তথ্য অ্যাক্সেস সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত কার্যকলাপের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে সাইবার আক্রমণকারীরা কেবল বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর উপরেই নজরদারি করে না, নতুন গড়ে ওঠা বা ছোট প্রতিষ্ঠানগুলিও এখন তাদের সহজ টার্গেট। কঠোর সাইবার নিরাপত্তা ব্যতীত আপনার প্রতিষ্ঠানটি সাইবার-আক্রমণ এবং ডাটা চুরির ঝুঁকিতে রয়েছে। বড় থেকে শুরু করে ছোট সংগঠন, এটি কেবল ব্যবসার জন্যই নয় বরং তাদের গ্রাহক ও কর্মচারীদের জন্যও অন্যতম প্রধান উদ্বেগ।

সুতরাং, আপনার ব্যবসায়ের সাইবার-নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কীভাবে করবেন? নীচে কিছু সহায়ক টিপস রয়েছে।

আপনার কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিন

আপনার ব্যবসায়ের সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধির দ্রুত ও সহজ উপায়গুলির মধ্যে একটি হ’ল আপনার কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং শিক্ষিত করা। আপনার সংস্থার প্রত্যেকেরই আপনার কোম্পানির সুরক্ষা নীতি সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকা এবং এটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা আবশ্যক। সুতরাং, আপনার কর্মীদের সাইবার-নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের জন্য বিনিয়োগ করা উচিত। আপনার সংস্থার প্রতিটি কর্মীকে সংগঠনের নিরাপত্তা নীতি এবং পদ্ধতির জন্য দায়বদ্ধ রাখুন। একটি ধারাবাহিক পরিকল্পনা তৈরি করুন! এটি করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বেশিরভাগ নিরাপত্তা লঙ্ঘন বা রেনসমওয়্যার আক্রমণ ঘটে কোনও কর্মচারীর দুর্ঘটনাক্রমে কোনও লিঙ্ক বা সংযুক্তিতে ক্লিক করার মাধ্যমে, যা হ্যাকারকে আপনার কোম্পানির নেটওয়ার্কে প্রবেশের অনুমতি দেয়।

সেরা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন

ব্যবসায়ের সাইবার নিরাপত্তার জন্য এন্টিভাইরাসের প্রয়োজনীয়তাকে আপনি কোনোভাবেই অত্যুক্তি বলতে পারেন না। আপনার ব্যবসায়ের সংবেদনশীল ডাটা (যার মধ্যে ক্লায়েন্ট, গ্রাহক এবং কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্যও অন্তর্ভুক্ত) ভুল হাত থেকে দূরে রাখতে প্রফেশনাল অ্যান্টিভাইরাস সুরক্ষা আবশ্যক। আপনার কর্মীদের দ্বারা ব্যবহৃত সমস্ত সিস্টেম বা মেশিনে সিকিউরিটি সফ্টওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। যদি না থাকে এখনই আপগ্রেড করুন।

আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক লক করুন

প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান টিকে থাকার জন্য ওয়াই-ফাই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা। অনিরাপদ ওয়াইফাই সংযোগ কোনও প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি দুর্বল পয়েন্ট। সুতরাং, আপনার যদি একটি Wi-Fi নেটওয়ার্ক থাকে তবে এর গোপনীয়তা নিশ্চিত করুন। নিরাপত্তা জোরদার করতে আপনার গ্রাহক, ক্লায়েন্ট এবং অন্যান্যদের জন্য পৃথক “গেস্ট নেটওয়ার্ক” স্থাপন করুন।

স্মার্ট মোবাইল ডিভাইস নীতি প্রয়োগ করুন

বেশিরভাগ কর্মচারী তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল ডিভাইসে কর্মক্ষেত্রের ইমেল ব্যবহার করেন যা নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করে এবং বিভিন্ন সাইবার ঝুঁকির দরজা উন্মুক্ত করে, বিশেষত যদি ডিভাইসগুলোতে সংবেদনশীল ডাটা থাকে বা ব্যবসায়ের নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস করতে পারে। সাইবার আক্রমণকারীরা কখনই বসে থাকেনা, ব্যবহারকারীর দুর্বল দিকের উপরে তাদের সবসময় নজর থাকে। সহজ কিছু জিনিসই পারে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাস করতে যেমন কার্যকর মোবাইল ডিভাইস নীতি চালু ও প্রয়োগ করা এবং সমস্ত ডিভাইস সুরক্ষিত রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।

ডাটা ব্যাকআপ

আপনার প্রতিষ্ঠানের ডাটার ব্যাকআপ ইতিমধ্যে না থাকলে এখনই এটি নিয়ে ভাবুন। সাইবার নিরাপত্তায় অতিরিক্ত স্তর যুক্ত করতে নিয়মিত ডাটা ব্যাকআপ গুরুত্বপূর্ণ । ম্যালওয়্যার, ভাইরাস ইত্যাদির মতো নিরাপত্তা হুমকিগুলো যদি আপনার ডিভাইসে লুকিয়েও থাকে, পুনরূদ্ধারযোগ্য ব্যাকআপ সিস্টেমের সাহায্যে আপনি আপনার ডাটা আবার ফিরে পাবেন। কতিপয় ক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তা আক্রমণ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যাকআপ ফাইলগুলো অফসাইটে সংরক্ষণ করা হয়। সুতরাং, আপনার মূল্যবান ডাটা ব্যাক আপ হয়েছে এবং একটি পৃথক স্থানে সংরক্ষণ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

তাহলে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কি সাইবার আক্রমণ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত? আপনার প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা প্রয়োজন? মন্তব্য বিভাগে আপনার মূল্যবান মতামত প্রদান করুন!

The Author

Abhijeet Guha

Abhijeet is an active blogger with decent experience in the IT Security industry. He researches on various topics related to cyber security and pens down his research in the form of articles & blogs. You can reach him at abhijeet@reveantivirus.com.
Abhijeet Guha
  Leave a Comment
Search for: