‘ফ্রি’ শব্দটি শুনতে অনেক আকর্ষণীয় হলেও ফ্রি জিনিস অনেক সময়ই কোনো কাজে আসে না। অফ কিংবা অনলাইনে তথ্য ও গোপনীয়তা নিশ্চিত ও ডিভাইসের সুরক্ষায় অ্যান্টিভাইরাসের কোনো বিকল্প নেই – এ কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু তাই বলে কি পিসিতে বা মোবাইলে যেন তেন একটি অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করা থাকলেই হবে, নাকি উন্নত সুরক্ষা পেতে কোনো মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে?
বাজারে গেলে কিংবা গুগল করলেই দেখবেন শত শত অ্যান্টিভাইরাস। এর এই সুবিধা তো অন্যটাতে আবার নানা উপহার সামগ্রী ফ্রি! সব যাচাই করে দেখতে গেলেও মাথা ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, কেননা প্রচলিত পণ্যের বেশিরভাগই ওই ফ্রি প্রোডাক্ট। বিনামূল্যে পাওয়া যাওয়া এসব নিরাপত্তা পণ্যের সবচেয়ে বড় সমস্যা এই যে মূলত যে উদ্দেশ্যে কেউ তা ব্যবহার করতে চান অর্থাৎ ডিভাইস ও তথ্যের নিরাপত্তা – তা নিশ্চিত করতে পারে না। এসব ফ্রিওয়্যার ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার ধরতে না পারার কারণ এসবের কোনোটিতে আধুনিক ডিটেকশন টেকনোলোজি যুক্ত করা হয়নি।
চাকচিক্য থাকলেও বিনামূল্যে পাওয়া এসব নিরাপত্তা প্রোগ্রাম রুটকিট, স্পাইওয়্যার বা হ্যাকারদের আক্রমণ ঠেকাতে পারে না। এছাড়াও নিত্যনতুন সংক্রামিত কম্পিউটার ভাইরাস ও কি-লগারসহ বিভিন্ন অনলাইন থ্রেট ঠেকাতে চাই উন্নত স্ক্যান ইঞ্জিন, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ইত্যাদি আধুনিক নিরাপত্তা সেবা।
শুধু তাই নয়, একজন ব্যবহারকারী হিসেবে দিন-রাত যে কোনো সময় কারিগরি যে কোনো সমস্যা বা ব্যবহারবিধি বিষয়ক যে কোনো জিজ্ঞাসা মেটাতেও এসব ফ্রি অ্যান্টিভাইরাসের কোনো সাপোর্ট সেবা নেই।
সার্বিক দিক বিবেচনায় কেবল নিজের একার নিরাপত্তাই নয় যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে যেহেতু পরিবারের অন্য সদস্যরাও জড়িত তাই দেখে-শুনে যাচাই করে প্রিমিয়াম অ্যান্টিভাইরাস দেখেই ব্যবহার করা উচিত।